বর্তমান বিশ্ব পর্ণোগ্রাফি নামক জ্বরে আক্রান্ত। বিশেষ করে স্মার্টফোন সহজলভ্য হয়ে যাওয়ার পর থেকে কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই পর্ণোগ্রাফি আসক্তিতে ভুগছেন। সবচেয়ে ভয়ের কথাটা হলো যে পুরুষদের পাশাপাশি আজকাল মেয়েদের একটা বড় অংশ এই আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছেন। উপমহাদেশে সেক্স এডুকেশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় খুব সহজেই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে আর শুধু তাই নয় পর্ণ দেখার পাশাপাশি সেগুলো অনুকরণ করা, ছবি তুলে সংগ্রহ করা ইত্যাদির ফলে অনেকে মারাত্বক বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
১. মোবাইল থেকে পর্ণ দেখার সময় মোবাইলে সেভ থাকা মেইল আইডি ও সেভ থাকা সমন্ত তথ্য সিস্টেমের মাধ্যমে ওই পর্নসাইটগুলিতে চলে যায়। এতে নিরাপত্তার কিছু থাকছে না। শুধু তাই নয়, এর ফলে ফোনের সমস্ত তথ্য হ্যাকারদের হাতে খুব সহজেই চলে যাচ্ছে।
২. যখনই অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে পর্নসাইটগুলি খোলা হয়, তখনই সেখানে অটোমেটিক অ্যাক্টিভেট করা বিভিন্ন ভিএএস সার্ভিসগুলি ফোনে অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়। এই সাবক্রিপশনগুলোর জন্যই হঠাৎ হঠাৎ ফোনের ব্যালেন্স কমাতে থাকে।
৩. পর্নসাইটগুলি বাঁকা পথে টাকা রোজগার করার জন্য অনেক পথ অবলম্বন করে। অনলাইনে আসলে কোনও কিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। আপনাকে হয় টাকা দিয়ে আর না হয় ডেটা দিয়ে সব কিছু কিনতে বা দেখতে হয়। মাঝে মাঝেই দেখা যায় কোনও একটি ডিভাইস আচমকা লক হয়ে গিয়েছে। তখন ডিভাইসটি খুলতে টাকা দাবী করা হয়।
পর্ণোগ্রাফি দেখার ফলে প্রেম ও শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। প্রেম ও ভালোবাসাকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধুমাত্র শারিরীক চাহিদা মেটানোর জন্য সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে এবং খুব দ্রুত সময়ে সেগুলোর পতন ঘটছে। নারীকে সম্মানের বা ভালোবাসার পাত্রী না ভেবে ভোগবিলাসের বস্তু ভাবার প্রবণতা বাড়ছে ফলে মূল্যবোধের অবনতি ঘটছে। অতিরিক্ত পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হলে তখন মানুষ শুধু যৌনতার দিকে ছোটে এবং সবাইকে সেই দৃষ্টিতে দেখে ফলে সামাজিক মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে।পর্ণ ছবি অনুকরণের চেষ্টার ফলে অশ্রাব্য ও অশ্লীল ভাষা ও ইঙ্গিত বেড়েই চলেছে এবং এর ফলে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। নিয়মিত পর্নো ছবি দেখার ফলে বাস্তবতাকেই হারিয়ে ফেলছে সবাই। বাস্তব জীবনেও তেমন সঙ্গীই আশা করা, সাধারণ সঙ্গীদের যথেষ্ট মনে না হওয়ার ফলে জীবনের সুখ-শান্তি হারিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন